ডগ স্কোয়াড ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে গিয়ে নেদারল্যান্ড থেকে লাপাত্তা হওয়া কক্সবাজারের রাসেল চন্দ্র দে দেশে ফেরেননি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টোরোরিজম বিভাগের হয়ে ৮ সদস্যের ডগ স্কোয়াড টিমের সাথে নেদারল্যান্ডসে গিয়ে ‘পালিয়ে’ যান তিনি। রাসেল কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লীর পল্লাইন্যা পাড়ার লক্ষণ চন্দ্র দের ছেলে। শনিবার (২৮ মে) বিকেলে তার বাড়িতে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
রাসেলের মা রেবারাণী দে বলেন, রাসেলকে প্রশিক্ষণে না যেতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার কথা না মেনে সে নেদারল্যান্ডসে গেছে। আমার দুই সন্তানের একজন দুবাই প্রবাসী এবং ছোট ছেলে রাসেল পুলিশের চাকরিতে গিয়েছিল ৮ বছর আগে। এখন তাকে কীভাবে ফিরে পাই, সে চিন্তায় আছি।
দুবাই প্রবাসী সুভাষ চন্দ্র জানান, প্রশিক্ষণে গিয়ে পলাতক হয়ে যায় রাসেল। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে ‘আমি পুলিশের চাকরি করবো না, তাই দেশে ফিরিনি। পুলিশের চাকরিতে পোষায় না। তাই চাকরি আর করবো না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানেই থেকে যাবো। আর দেশে ফিরবো না। তিনি জানান, তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর কারণে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রাসেল। এমনকি এখন পরিবারের সবার সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কনস্টেবল রাসেলের স্ত্রী পম্পি রাণী দে বলেন, আমার স্বামী দেশে ফেরার কথা ছিল ২৪ মে। তারও চার দিন আগে সে আমাকে মোবাইলে বলেছিল আমার জন্য শ্যাম্পু ও লোসন এবং তিন মাসের বাচ্চার জন্য দুধ কিনেছিল। কিন্তু দেশে না ফিরে সে পালিয়ে গেল। কিন্তু কেন দেশে ফেরেনি তা বিস্তারিত বলেনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দে’র বাবা-মাকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, রাসেল তার বড় ভাই দুবাই প্রবাসী সুভাষকে তার দেশে না ফেরার কথাটি জানিয়েছে। সেই থেকে রাসেলের সাথে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলেও তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে বাংলাদেশ পুলিশের ৮ সদস্য নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিল ডগ স্কোয়াডে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। তাদের ২৪ মে দেশে ফেরার কথা। দলের সাথে দেশে না ফেরা ২ সদস্যের মধ্যে রাসেল চন্দ্র দেও একজন।