চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে ঘিরে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও ওমর সানী বিতর্ক থামছেই না। ঘটনার সুত্রপাত মুলত ডিপজলের ছেলের বিয়েতে। যেখানে স্ত্রীকে অসম্মান করার অভিযোগে জায়েদ খানকে চ;ড় মা;রে;ন ওমর সানী।
এসময় জায়েদ খান তাকে গু;লি ক;রার ;হু;ম;কি দেন বলে দাবি করেন সানী। এরপর গত রোববার শিল্পী সমিতির কাছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মৌসুমীকে হয়রানি ও সংসার ভাঙার চেষ্টা করার অভিযোগ জমা দেন এই নায়ক।
ওমর সানীর এসব অভিযোগের একদিন পরেই মুখ খুলেছেন মৌসুমী। যেখানে জায়েদ খানের পক্ষ নিতেই দেখা গেছে তাকে। এক অডিওবার্তায়, স্বামীর এসব দাবিকে মিথ্যা বলেন মৌসুমী। সেই সঙ্গে জায়েদ খানকে অনেক ভালো ছেলে বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
মৌসুমীর এমন দাবির পর ওমর সানী বলেন, আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই। আমার পরিবারের প্রতি, মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে, আমার ছেলে-মেয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।
সে যা বলেছে, কি ভেবে বলেছে আই ডোন্ট নো। এ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন যাবৎ একটু দূরত্ব তো চলছিল। চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু আপনারা ভালো জানবেন, ফোন রেকর্ড অনুযায়ী তার সাথে আমার ফোনেও কথা হচ্ছিল না। আমি তার ব্যাপারে মন্দ কথা, খারাপ কথা কিছুই বলবো না। কারণ সে স্টিল নাও আমার স্ত্রী। আমার সন্তানের মা।
জায়েদ প্রসঙ্গে এই নায়ক বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমি দেখছিলাম মৌসুমীর দিকে জায়েদ খানের একটা খারাপ নজর রয়েছে। তাকে আমি বিষয়টা নিয়ে বেশ কয়েকবার সাবধানও করেছিলাম। তবুও দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমীকে বিরক্ত করে আসছে।
ইজ্জতের জন্য বিষয়টা নিয়ে চুপ ছিলাম। পরে ডিপজল মামাকে বিষয়টা জানাই। এরপর ১০ তারিখে তার ছেলের বিয়েতে আমার জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা হয়। ওকে সামনে পেয়েই আমি চড় বসাই। সঙ্গে সঙ্গে, ও কোমরে হাত দিয়ে পিস্তল বের করার ভঙ্গিমায় আমাকে হুমকি দেয়।
মৌসুমীকে নিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২৭ বছরের সংসার।
এত লম্বা সময়ে কখনোই তার কাছ থেকে কোনো অশালীন আচারন পাইনি। সংসার জীবনে মা হিসেবেও তিনি সফল, স্বামীর প্রতিও একজন স্ত্রী হিসেবে সফল। তিনি একজন চমৎকার নারী।’