দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারার মধ্যে কয়েকদিন দেড় হাজারের অধিক শনাক্ত হয়েছে। এরইমধ্যে সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা, কোরবানির পশুর হাট, পর্যটনকেন্দ্রিক জমায়েত হবে। এদিকে সংক্রমণ বৃদ্ধি ও নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণের নতুন ঢেউ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, দ্রুতই পরিস্থিতি খারাপ হবে। এমতাবস্থায় মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি টিকাদান জোরদার এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে গেলেই বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে তা দুই অঙ্কের ঘরে ঠেকেছে। দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। সামনে কোরবানি ঈদ। বাড়ি ফেরার হিড়িক, কোরবানির পশুর হাট, ভ্রমণ ইত্যাদি রয়েছে। তাই সংক্রমণ যে বাড়বে, সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর কোনোটাই কখনো সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যায়নি, এবারও যাবে না বলেই ধারণা তাদের। এ জন্য কিছু পরামর্শ উঠে এসেছে তাদের কথায়।
হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা কখনোই পুরোপুরি মানা হয়নি। এবার অন্তত মাস্কের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে মনে হয় করোনার সংক্রমণ বেড়েই যাবে। সেজন্য জনগণের জন্য একটি কথা বারবার বলি, অন্তত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। মাস্ক পরুন, হাত ধোয়ার চেষ্টা করেন।