এবার নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ের সাত মাসের মাথায় কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সকাল ৭টার দিকে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছেন, তিনি ভোর ৪টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সিলিংয়ে ঝুলছেন খায়রুন নাহার। হাতের কাছে ধারালো কিছু না পেয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তাকে নিচে নামান।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে সে সংসার বেশি দিন টিকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে।
মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।