গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে বরিশালে এসে পালিয়েছিলেন স্বামী লালচাঁন মোল্লা (৪০)। রবিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধপপাশা থেকে অভিযুক্ত লালচাঁনকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল সিআইডি পুলিশ। এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) গাজীপুর থেকে লালচাঁন মোল্লার স্ত্রী মোছা. রিনা খাতুনের (৩৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার হওয়ার সময় বিভিন্ন আলামত দেখে পুলিশ ধারণা করছিল রিনা খাতুনকে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়েছেন। পরে লালচাঁনকে ধরতে অভিযানে নামে সিআইডি পুলিশ। লালচাঁন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর এলাকার মৃত হাসান মোল্লার ছেলে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর লালচাঁন পালিয়ে মাধবপাশা দুর্গা সাগর এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে লালচাঁন ওই মসজিদের ইমামের কাছ থেকে তাবিজ নিতে যান। এ সময় সিআইডি পুলিশের হাতে লালচাঁন ধরা পড়েন। গ্রেফতার লালচাঁন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মৃত হাসান মোল্লার ছেলে ও রিনা ওই উপজেলার আন্দারকোঠা পাড়ার গেদু শেখের মেয়ে।
সিআইডির বরিশাল জেলা ও মেট্রো শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, রিনাকে নিয়ে গাজীপুর নগরীর কোণাবাড়ীর বাইমাইল এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন লালচাঁন। শনিবার বিকেলে তালাবদ্ধ রুম থেকে রিনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার আগ থেকেই আত্মগোপনে চলে যান লালচাঁন। সিআইডির এলআইসি শাখা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে লালচাঁনকে গ্রেফতারের জন্য সিআইডির বরিশাল মেট্রো ও জেলা শাখাকে দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব পেয়ে পরিদর্শক নুরুল আলম তালুকদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লালচাঁদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার লালচাঁদের বরাতে অভিযানিক দলের সদস্যরা জানান, শনিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী রিনাকে সজোরে লাথি মেরে বাইরে চলে যান লালচাঁন। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি ঘরে ফিরে দেখেন তার স্ত্রীর মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে ও মরে পড়ে আছে। তৎক্ষণাৎ রুম তালা মেরে সটকে পড়েন লালচাঁন।