ভরা মঞ্চে নওগাঁ-৩ আসনের সাবেক এমপি আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাত থেকে বর্তমান এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদারের মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে ভিডিওটি। এমন ঘটনায় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের শিবপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ওই আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি মঞ্চে বসে থাকা আকরাম চৌধুরীর দিকে মাইক্রোফোন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন ‘নৌকার জন্য যখন আপনার এতো ভালবাসা তাহলে মাইক্রোফোন নিয়ে একটু বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় কোথাও কারো জন্য ভোট চেয়েছেন কি না বা তার কোনো প্রমাণ কি দেখাতে পারবেন?তখন আকরাম চৌধুরী মাইক্রোফোন নিয়ে বলেন, ওই সময় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকায় আইনগত জটিলতায় ভোট চাইতে পারেননি তিনি। এ সময় এমপি ছলিম তরফদার তার হাত থেকে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেন। তখন আশপাশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জোরে আওয়াজ দিয়ে উঠেন।
তবে ঘটনার দিন তাকে হাজারও মানুষের সামনে লাঞ্ছিত করা হয়েছে জানিয়ে ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাকে অনেক গালিগালাজ করা হয়েছে। মাস কয়েক আগে শেষ হওয়া চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগকে দুই ভাগ করা হয়েছে। সবাই বিলাশবাড়ী ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি দাবি করেন। তবে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর বিষয়ে নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘আমি একটি সভা মঞ্চে আছি। এখানে আকরাম হোসেন চৌধুরীও আছেন। সেদিনের ঘটনা বড় কিছু নিয়ে নয়। অতীতের জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই এমনটা হয়েছে। আমরা দু’জন আবারও একই মঞ্চেই আছি, বক্তৃতা করছি। ’
প্রসঙ্গত, ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হন বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীর তরফদার সেলিম। সেই সময় তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন। প্রায় তিন বছর বহিষ্কার থাকার পর ২০১৬ সালের দিকে ফের তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদিকে ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কৃর্তপক্ষ বিএমডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী।