আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রচার শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টায়। আজ মধ্যরাত (৪ নভেম্বর প্রথম প্রহর) থেকে ৭২ ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখতে হবে মোটরসাইকেল চলাচল। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্দেশনাটি তারা বাস্তবায়ন করবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটের এলাকায় ৩ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে ৬ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বাইক চলাচল বন্ধ থাকবে। আর ৪ নভেম্বর মধ্যরাত ১২ টা থেকে ৫ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন।এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমিত সাপেক্ষে জরুরি পরিবহন চলাচল করতে পারবে।
ফরিদপুর-২ আসনটি নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এতে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন। নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের ৮০৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র) বৈধতা পান। এছাড়া মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), মো. আবদুল কাদেরের (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এদিকে ১৯ অক্টোবর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আওয়ামিলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর মিয়া তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।