ফরিদপুরে আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ৩৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট শুরু হচ্ছে। এ ধর্মঘট চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত। এই সময় ফরিদপুর বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা ও স্থানীয় রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। ফলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৫ জেলা থেকে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে ঢাকা রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। এতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গেও রাজধানীর বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট চারদিন বরিশালে দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ হলো।
ঢাকা রুটে বাস বন্ধের পূর্ব ঘোষণা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকামুখী যাত্রীদের বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু জানান, বৃহত্তর ফরিদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা শুক্র ও শনিবার ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় অতিক্রম করতে হয়। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়পথে বাস চলাচল করতে দেবেন না ফরিদপুরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি দুই দিন বিআরটিসি বাস বন্ধ করার কারণ বিএনপির গণসমাবেশকে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো সমস্যা হবে না।