ঢাকাসোমবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  1. Btribune Eng
  2. আন্তর্জাতিক
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলার বার্তা
  5. চাকুরি – শিক্ষা
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. বিজ্ঞান – প্রযুক্তি
  9. বিনোদন
  10. রাজনীতি
  11. লাইফ স্টাইল
  12. স্যোসাল মিডিয়া

গাজীপুরে কাপড়ের মার্কেটে আগুন নিঃস্ব শতাধিক ব্যবসায়ী!

Ar Monna
ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাজী আব্দুর রহিম পাইকারি কাপড়ের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন কয়েকশ ব্যবসায়ী। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা বাড়িতে চলে যান। এর এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যেই আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে ছুটে আসেন তারা। কিন্তু ততক্ষণে সব মালামাল পুড়ে শেষ। অনেক ব্যবসায়ী দোকানে রাখা তাদের নগদ অর্থও বের করতে পারেননি।

ইসলামিয়া বস্ত্রালয়ের মালিক মো. হারুন অর রশিদ জানান, মার্কেটের পূর্ব সারিতে তার দোকান। প্রতিদিনের মতো রোববার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে চান্দনা মসজিদ মার্কেট মাঠে মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তিনিসহ আরো অনেক ব্যবসায়ীরা। আধাঘণ্টা পরেই তিনি ফোনে জানতে পারেন মার্কেটে আগুন লেগেছে। তাড়াহুড়ো করে ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরে এলেও ততক্ষণে আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় আর মার্কেটের ভেতরে যেতে পারেননি তিনি।

তিনি জানান, তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় মালামাল বিক্রির নগদ ৮ লাখ টাকাহ ক্যাশবাক্স পুড়ে গেছে। তার মোট ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব হারিয়ে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি পথে বসে গেছেন।

মুন্নি ফ্যাশন নামে দুটি শো-রুম ও দুটি বিটের মালিক মো. রুবেল বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে প্রায় সব দোকান বন্ধ ছিল। আমিও দোকন বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হটাৎ পূর্ব পাশ থেকে আগুন লেগেছে বলে চিৎকার শুনি। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কোনো রকমে জীবন বাঁচাতে বাইরে চলে যাই। সকালে আগুন নেভানোর পর ক্যাশবাক্স থেকে মালামাল বিক্রির কিছু টাকা পাই কিন্তু টাকার বেশি অংশ পুড়ে গেছে। মোট ৩৫ লাখ টাকার কাপড় পুড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

বিসমিল্লাহ বস্ত্রালয়ের মালিক মো. সেলিম জানান, কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় প্রায় দোকানেই শীতের পোশাক বেশি ছিল। ফলে আগুন খুব অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তার নগদ ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৪৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানান।

আয়ন থ্রিপিসের মালিক মামুন খাঁন জানান, আগুন লাগার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস গাজীপুর ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পার্শ্ববর্তী ভূমি অফিসের পুকুর থেকে পানি সরবরাহের মাধ্যমে আগুন নেভানো শুরু করে। কিন্তু পাম্প মেশিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

মার্কেট পরিচালনা কমিটির ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ৯টায় কাজ শেষ করে বাসায় পৌঁছানোর পর আগুন লাগার খবর জানতে পারি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা ঘটানাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ওই মার্কেটের সভাপতি আব্দুল মতিন জানান, আগুনে এ মার্কেটের দুই শতাধিক দোকান সম্পূর্ণরূপে এবং আরো প্রায় দুইশ দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাসন মেট্রো থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন আগুনে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। আগুনে দোকানের মালামাল পুড়ে অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কেটের বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ে নিন্মমানের ক্যাবল ব্যবহার করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে মার্কেটটি গড়ে ওঠেনি। তাছাড়া অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মার্কেটে যাতায়তের জন্য যে রাস্তা রয়েছে তা ছিল খুবই সরু। যার ফলে সময়মতো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। অনেক দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে আগুনে ৮২টি দোকান এবং ১১টি টিনের চালাঘর পুড়ে গেছে। এসব দোকানগুলোতে পাইকারি কাপড় বিক্রির জন্য বিভিন্ন মালামাল ছিল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।