ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক গৃহশিক্ষককে নিজের সন্তানের পিতা দাবি করেছেন স্নাতকপড়ুয়া এক তরুণী। ওই ছাত্রী গত ৬ জানুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। এরপর সন্তানকে নিয়ে তিনি বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের একটি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন ওই ছাত্রী। তাকে বাড়িতে এসে আরবি শেখাতেন এক তরুণ। কলেজছা্রীর অভিযোগ, ‘আরবি পড়াতে এসেই হৃদয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক হয়। অন্তঃসত্ত্বা হলে হৃদয় অস্বীকার করে। হৃদয়ই সন্তানের পিতা। আমি সন্তানের বাবার স্বীকৃতি চাই।’
এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, ‘মেয়েটার এমন অবস্থা দেখে এলাকার মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়েছি। আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ফয়সালা দিতে পারেনি। আমি মেয়েটিকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’
এদিকে ওই তরুণের বাবা বলেছেন, ‘মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াত আমার ছেলে। তবে এ ধরনের কাজ করবে সেটি আমার বিশ্বাস হয় না। মেয়েটির পরিবারকে বলে দিয়েছি, বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষা করাতে। প্রমাণ হলে দেখা যাবে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর মেয়েটি অনেকের নাম প্রকাশ করেছে। সে জন্য সঠিক সিন্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। তবে দেখি শেষ পর্যন্ত কি করা যায়।’
এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’